লিটল ম্যাগ চত্বর- কেন এত অবহেলার শিকার?
লিটল ম্যাগ চত্বর দেখে এবার অনেকেই বলছেন, এটি একটি গোয়ালঘর। সারি সারি দোকান। হাঁটাচলার জায়গা নেই। পর্যাপ্ত আলো নেই। বসার মতো যথেষ্ট চেয়ার নেই। পাশেই ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ। সেখান থেকে ভেসে আসছে অহর্নিশ শব্দ। লিটলম্যাগ চত্বর একপাশে পড়ে যাওয়ায় পাঠকও বেশি আসছেন না এদিকে। এ নিয়ে মেলার শুরু থেকেই লিটল ম্যাগ সম্পাদক-কর্মীদের সঙ্গে মেলার আয়োজক-কর্তৃপক্ষের চলছে বাগবিতণ্ডা। লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকরা এ মেলা বর্জনও করতে চেয়েছিলেন। দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা শেষে একটা সুরাহা হয়েছে। তবুও যে লিটল ম্যাগ চত্বরে আলো খুব পড়েছে বলা যাবে না।
মেলা শুরুর আগে থেকেই মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকদের এবার দ্বন্দ্ব-বিরোধ শুরু হয়েছে। যে জায়গায় লিটল ম্যাগ চত্বর দেয়া হয়েছে সে জায়গটি পছন্দ করেননি অনেক লিটল ম্যাগ-কর্মী সম্পাদক। টিএসসি দিয়ে ঢোকার মুখেই একেবারে রাস্তার পাশে ছোট্ট একটু জায়গা নিয়ে আয়োজিত হয়েছে এবারের লিটলম্যাগ চত্বর। জায়গাটি উঁচু-নিচু, এবড়ো থেবড়ো। সামনেই মেলায় ঢোকার মূল প্রবেশ পথ। সেদিক দিয়ে লোকজন হেঁটে গেলেও এদিকে কেউ ফিরে তাকায় না। সবার লক্ষ্য থাকে কখন মূল মেলায় প্রবেশ করবে। লিটল ম্যাগ সত্যিই এমন জায়গায় পড়ে গেছে, দেখেই মনে হয় মূল মেলা থেকে বিচ্ছিন্ন। লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকরা নিষেধ করেছিলেন এখানে স্টল না বানাতে, বাঁশ না গাঁথতে।
আগে মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সবকিছু চূড়ান্ত করে তারপর যেন স্টল তৈরি করা হয়; কিন্তু, মেলা কর্তৃপক্ষ সে-কথা শোনেনি। তারা স্টল তৈরি করে ফেলে। ছাই ও বালু দিয়ে উঁচুনিটু জায়গাগুলো মোটামুটি ভরাট করা হয়। যথাসময়ে স্টল বরাদ্দও দেয়া হয়। যারা মূল ধারার লিটল ম্যাগ প্রকাশ করেন তারা মেলার দু-চার দিন গেলেও স্টল নিয়ে বসেননি। বরং মূল ধারার বাইরের কিছু প্রকাশক স্টল নিয়ে বসে গেছেন। তারা অনেকে লিটল ম্যাগও প্রকাশ করেন না। তারা প্রকাশ করেন ভূতের বই। নিজের বই। বিনোদন ম্যাগাজিন। এমন এক খাপছাড়া বৈশিষ্ট্য যে লিটল ম্যাগাজিনের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে একেবারেই বেমানান। তবুও কারও কিছু বলার নেই। লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকরা এ-নিয়েও প্রতিবাদ করেন। দুদিন পর দেখা গেল আরও এক প্রকট সমস্যা, পর্যাপ্ত আলোর আয়োজন নেই। সন্ধ্যার পরই লিটল ম্যাগ চত্বর আবছা অন্ধকারে ঢেকে যায়। মেলার দুদিনের মাথাতেই তারা মেলা বর্জনের ঘোষণা দেন। মেলা কর্তৃপক্ষর সঙ্গে আলোচনা করেন। মেলা কর্তৃপক্ষ এখান থেকে এখন লিটল ম্যাগ চত্বর সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অপারগাত প্রকাশ করেন।
কবি ও শালুক সম্পাদক ওবায়েদ আকাশ
প্রতিশ্রুতি দেন এখানেই যতদূর পারেন, সমস্যার সমাধান করবেন। কিছু স্টল নতুনভাবে বিন্যাস করা হয়। কিছু আলো ও চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়। মেলার এক সপ্তাহর মাথাতে লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকরা দাবি করেন তাও যথেষ্ট নয়। এখনো অনেক সমস্যা বর্তমান। সবচেয়ে বড় সমস্যা যা, এদিকে পাঠক আসেন না বললেই চলে। এসব নিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকদের তর্ক-বিতর্ক এখনো চলমান। পক্ষে-বিপক্ষে অনেক মতামতই পাওয়া যাচ্ছে। ‘শালুক’ সম্পাদক কবি ওবায়েদ আকাশ বললেন, ‘এবারের লিটল ম্যাগাজিন মেলা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অপরিকল্পিত ও বিশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস করা হয়েছে। স্টলগুলো এত বেশি ঠাসাঠাসি করে দেয়া হয়েছে যে, কারও হাঁটাচলা করে পত্রিকা নাড়াচাড়া করে দেখার মতো আগ্রহ নেই। এসব বাংলা একাডেমির উদাসিনতা। বরাবরই বাংলা একাডেমি তারুণ্য ভয় পায়। প্রতি বছর আন্দোলন করে লিটল ম্যাগাজিনের দাবি-দাওয়া আদায় করা হয়। এটা নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন না করলেই তারা বঞ্চিত হয়। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর নিয়ে একটা বাক্যও ভালো বলার মতো নেই।’
কবি ও মগ্নপাঠ সম্পাদক আহমেদ শিপলু
একই কথা বললেন ‘মগ্নপাঠ’ সম্পাদক কবি আহমেদ শিপলু, ‘লিটল ম্যাগাজিনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে লিটল ম্যাগাজিনের কোনো কর্তৃপক্ষ নাই। ব্যক্তিগতভাবে আমরা যারা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলি তারা আমাদের কথা তেমন আমলে নেন না। এবার যখন মেলার আয়োজন হয়েছে তখনই আমরা প্রতিবাদ করেছি। বলেছি জায়গাটা অপরিচ্ছন্ন, উঁচুনিচু। তারা ছাই দিলে, বালু দিয়ে জায়গা ভরাট করেছেন। তা ছাড়া বাছাই করে শুধু লিটল ম্যাগাজিনের জন্য স্টল বরাদ্দ দেয়ার কথা ছিল। তাও হয়নি। যাকে তাকে স্টল দিয়ে দিয়েছে। এমন অনেককে স্টল বরাদ্দ দিয়েছে যারা ভূতের বই বিক্রি করে। লিটল ম্যাগের নামে স্টল নিয়ে নিজের বই বিক্রি করে। নিজস্ব সংগঠনের মুখপত্র বিক্রি করে। এমন কি মৌলবাদী সংগঠনেরও স্টল আছে এখানে। এসব নিয়ে আমরা লিটল ম্যাগ চত্বরের দায়িত্বরত অফিসার কতুবউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, এটা তার হাতেও নাই। কার হাতে আছে তাও তিনি জানেন না।’
বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বরের আহ্বায়ক বাংলা একাডেমির উপপরিচালক কতুব আজাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বললেন, ‘ লিটল ম্যাগাজিনের জন্য আমরা নির্দিষ্ট একটা জায়গা করতে পারি নাই এই জন্য প্রতি বছর এরকম সমস্যা হয়। গত বছরই ওনারা এখানে জায়গা চেয়েছে, তাই এখানে তাদের জায়গা দেয়া হয়েছে। ওনাদের যা যা দাবি ছিল দ্বিতীয় দিনেই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ব্যানারে মাপজোকও আমরা ডিজাইন করে দিয়েছি। সামনে একটা তোড়নের মতো করব। বেঞ্চ ও আলোর ব্যবস্থাও করা হবে। আমাকে যেভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে আমি করেছি। আরও কিছু জানতে হলে দায়িত্বরত সদস্য সচিবের সঙ্গে কথা বলুন।’
সদস্য সচিব প্রশাসন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম সঙ্গে কথা বলতে গেলে দেখা গেল তিনি খুবই ব্যস্ত। তার ঘরভর্তি মানুষজন। তার পিএস বিষয়টার গুরুত্ব অনুধাবন না করেই বলেন, স্যারের সঙ্গে দেখা হবে না। তবুও এই প্রতিবেদক মিনিট দশকে অপেক্ষা করেন সদস্য সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য। অবশেষে ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম কোনো কাজে বেরিয়ে এলে ভিউজ বাংলাদেশের প্রতিবেদক তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই তারা কথা বলেন। লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকদের অভিযোগের কথা শুনে ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওনারা নিজেরা এই জায়গা বেছে নিয়েছেন। আমরা ওনাদের আগেরবারের জায়গাতেই জায়গা দিতে চেয়েছিলাম; কিন্তু, ওনারা বলেছেন ওখানে পাশে মোড়ক-উন্মোচন মঞ্চ, ফলে শব্দ হয়, তাই ওনারা আলাদা জায়গা চেয়েছেন। ওনাদের আলাদা জায়গা দেয়া হয়েছে। এখনো এত অভিযোগ কেন?’
প্রতিবেদক জানতে চান, ‘কিন্তু, জায়গাটা উঁচুনিচু, আর মেলার বিন্যাসও ভালো হয়নি, লিটল ম্যাগাজিনের বাইরেও অনেক স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?’ ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সেসব আমরা তদরকি করছি। মাত্র মেলা শুরু হলো। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। মেলার প্রথম দিকে আমাদের ব্যস্ত থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রী আসবেন তা নিয়ে। এক মাস ব্যাপী বইমেলা, অনেক কাজ। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আস্তে আস্তে সব ঠিক হবে। এ নিয়ে এত অভিযোগের কিছু নেই।’
কবি ও করাতকল সম্পাদক শাফি সমুদ্র
অভিযোগ যে অনেক কিছুতে আছে এ কথা জানালেন ‘করাতকল’ সম্পাদক শাফি সমুদ্র, ‘প্রতি বছরই বাংলা একাডেমি লিটল ম্যাগ চত্বর নিয়ে বিমাতাসুলভ আচরণ করে। আমরা কয়েক বছর ধরেই বলে আসছি লিটল ম্যাগ চত্বরের জন্য একটা স্থায়ী জায়গা দিতে। এভাবে একেক বছর একেক স্থানে জায়গা দিলে নানারকম সমস্যা হয়। বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। মেলার এক সপ্তাহ আগেও আমরা জানতে পারি না এবার কোথায় লিটল ম্যাগ চত্বর হচ্ছে। লিটল ম্যাগ চত্বরের নকশাটা নিয়েও মেলা কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলেন না। ওনারা তো জানেন না লিটল ম্যাগ চত্বর ঠিক কীরকম হওয়া উচিত। এখানে এসে কবি-সাহিত্যিকরা আড্ডা দেন। তরুণ কবি-সাহিত্যিকদের মিলনস্থল এটা। তাই জায়গাটা আরও সুন্দর, খোলামেলা হওয়া প্রয়োজন।’
কবি ও এক রঙা এক ঘুড়ি সম্পাদক নীল সাধু
এত অভিযোগ, আন্দোলনের পর এক সপ্তাহ পর কী ফল দাঁড়াল? এক সপ্তাহের লিটল ম্যাগ চত্বরে সামগ্রিক চিত্রই-বা কীরকম? এ নিয়ে কথা হলো ‘এক রঙা এক ঘুড়ি’র সম্পাদক নীল সাধুর সঙ্গে। নীল সাধু বললেন, ‘মেলার শুরুতে আমরা একটা ব্যানার লাগিয়েছিলাম, ‘কোনো পুরস্কারই নিরপেক্ষ নয়’। মেলা কর্তৃপক্ষ সেই ব্যানার খুলে নিয়ে গেছে। আমরা এরকম সারি সারি স্টল বানানোর বিপক্ষে ছিলাম। তারা আমাদের কথা শুনেননি। এই নিয়ে লিটল ম্যাগ কর্মী-সম্পাদকদের ক্ষোভ আছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, আমাদের মেলায় একটু জায়গা দিতে হয় তাই দিয়েছে। আমরা মেলা বর্জন করতে চেয়েছিলাম। পরে মেনে নিয়েছি। কিছু বই নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম, সেই বইগুলো মেলা কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেছে। যেহেতু আমরা আমরাই সেহেতু একটা মীমাংসা হয়েছে। আর আমাদেরও অনেক দোষ আছে। যেহেতু লিটল ম্যাগাজিনের আর সেইরকম আন্দোলন নাই, এই সুযোগটা মেলা কর্তৃপক্ষ নেয়। আমরা যদি একজোট থাকতাম, আরও সরব থাকতাম এটা তারা করতে পারতেন না।’
কবি ও মাদুলী সম্পাদক অরবিন্দ চক্রবর্তী
‘মাদুলী’ সম্পাদক কবি অরবিন্দ চক্রবর্তীও বললেন এই কথা, ‘লিটল ম্যাগকে তারুণ্যের পাওয়ার হাউস ধরা হয়; কিন্তু, সেই ধারাবাহিকতা কি ধারণ করছে হালের লিটল ম্যাগ? এই জিজ্ঞাসা আসলে নিজের কাছেই। কখনো কখনো মনে হয় এই লিটল ম্যাগ কনসেপ্ট কি একইভাবে আজীবন বহন করা সম্ভব? সবকিছু নষ্টদের দখলে যাওয়ার পর, যেতে দেওয়ার পর আমরা আর কীসের লড়াই করছি? তবু কিছু লড়াকু আজও আন্দোলন জারি রেখেছে। এই আমাদের আপাতত স্বস্তি। লিটল ম্যাগ আন্দোলনকারীদের কোনো তৎপরতা নেই বলেই আজ লিটল ম্যাগ চত্বরের এই অবস্থা। লিটল ম্যাগ চত্বরের এই দুর্দশা লিটল ম্যাগ আন্দোলনের দুর্বলতাকেই চিহ্নিত করে।’
এ দেশের উল্লেখযোগ্য ও প্রভাশালী লিটল ম্যাগাজিনগুলো বেশির ভাগই আজ হিমাগারে। বলা হয় লিটল ম্যাগাজিনের জন্মই হয় মরে যাবার জন্য। বড় স্বল্প তাদের আয়ু। তবু কিছু কিছু লিটল ম্যাগ তারুণের স্পন্দন এনে দিয়েছিল। এ দেশের অনেক কবি সাহিত্যিক তৈরি হয়েছেন লিটল ম্যাগাজিন থেকে। লিটল ম্যাগাজিন লেখক-কবি-সাহিত্যিকের আঁতুঘর। অনেকে এক সময় কেবল লিটল ম্যাগাজিনিই লিখতেন। আজ আর সেইসব দিন নেই। প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার আন্দোলন নেই। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতার কবি-লেখক আর লিটল ম্যাগাজিনের কবি-সাহিত্যিক এক হয়ে গেছেন। তবুও আজও কিছু তরুণ জ্বালিয়ে রেখেছেন সেই আলোর মশাল। নিজের খেয়ে নিজের পরে তারা প্রকাশ করেন স্বপ্নের ছোট কাগজ। এবারের মেলায় খুব বেশি লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়নি। অনেকে পুরোনো সংখ্যাগুলো নিয়েই স্টল সাজিয়েছেন। তবুও কিছু পত্রিকা এসেছে, আসছে।
এবারের মেলা উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য যেসব লিটল ম্যাগ প্রকাশিত হয়েছে, বা হচ্ছে সেগুলো হলো- আহমদ শিপলু সম্পাদিত ‘মগ্নপাঠ’। প্রায় হাজারখানেক পৃষ্ঠার এই সংখ্যাটি মূলত পঞ্চাশ বছরের বাংলাসাহিত্যের একটি পর্যালোচনা বা পরিভ্রমণ। মেলার আগে আগেই প্রকাশিত হয়েছে ওবায়েদ আকাশ সম্পাদিত ‘শালুক’-এর শঙ্খঘোষ সংখ্যা। এটিও বিরাট আকারের, ঢাউস সংখ্যা। আসছে সরকার আশরাফ সম্পাদিত ‘নিসর্গ’। প্রকাশিত হয়েছে খালেদ উদদীন সম্পাদিত যুদ্ধ ও আগ্রাসন বিরোধী ‘বুনন’-এর একাদশ সংখ্যা। প্রকাশিত হয়েছে সমর চক্রবর্তী সম্পাদিত ‘শিলাবৃষ্টি’। খুব শিগগিরই প্রকাশিত হবে নীল সাধু সম্পাদিত ‘এক রঙা এক ঘুড়ি’র আবুল হাসান সংখ্যা। আরও আসছে সাফি সমুদ্র সম্পাদিত ‘করাতকল’, অপু মেহেদী সম্পাদিত ‘ক্ষ্যাপা’, মাহফুজ রিপন সম্পাদিত ‘ব্যাটিং জোন’, হারুন পাশা সম্পাদিত ‘পাতাদের সংসার’। মেলার আগামী সপ্তাহর মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরও ছোট কাগজ, ছোট কাগজের সম্পাদক, কবি-সাহিত্যিকরা এসে মেলায় ভিড় করবেন। লিটল ম্যাগাজিনের লেখক-কবি-কর্মী-সম্পাদকের মেলায় লিটল ম্যাগাজিন চত্বর মুখরিত হয়ে উঠলে সব অভিযোগ হয়তো মাটিচাপা পড়ে যাবে। আকাশে তখন উড়বে কেবল স্বপ্নের পায়রা।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে