উইল জ্যাকসের ঝোড়ো শতকে গুজরাটকে উড়িয়ে দিল বেঙ্গালুরু
আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে ছয় ম্যাচ পর জয় পেয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে এবার গুজরাট টাইটান্সকে উড়িয়ে দিল তারা। উইল জ্যাকসের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০১ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁলো ২৪ বল হাতে রেখে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। ৯ উইকেটে জিতে নেট রান রেট বাড়ালেও তাদের অবস্থান দশেই।
আহমেদাবাদে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে গুজরাট শুরুটা ভালো করতে পারেনি। ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা (৫) ইনিংসের ষষ্ঠ বলে আউট হন। অধিনায়ক শুবমান গিল ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ। দিল্লির বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৫ রান করেছিলেন। বেঙ্গালুরু তাকে ফেরায় ১৬ রানে।
৪৫ রানে ২ ওপেনারের বিদায়। এরপর সাই সুদর্শন ও মাসুদ শাহরুখ খানের ৮৬ রানের জুটিতে স্বস্তি খুঁজে পায় গুজরাট। ২৪ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ফিফটি পান শাহরুখ। ১৫তম ওভারের প্রথম বলে তিনি থামেন মোহাম্মদ সিরাজের কাছে। ৩০ বলে ৫৮ রান করে বোল্ড হন শাহরুখ।
সাই ৩৪ বলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেন। তার সঙ্গে ডেভিড মিলার ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ইনিংস শেষ করেন। ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ৮৪ রানে অপরাজিত ছিলেন সাই। ১৯ বলে ২৬ রান আসে মিলারের ব্যাটে।
৩ উইকেট হারিয়ে গুজরাট করে ২০০ রান।
জবাব দিতে নেমে বেঙ্গালুরুর দারুণ শুরু হয় ফাফ ডু প্লেসির ঝড়ে। চতুর্থ ওভার শেষ হওয়ার এক বল আগে তিনি বিদায় নিলেও ১২ বলে ২৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। এরপর কোনও বাধা ছাড়াই জয়ের তরী তীরে ভেড়ায় বেঙ্গালুরু।
জ্যাকস ও বিরাট কোহলি ১৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। প্রথম ১৭ বলে ১৭ রান করা জ্যাকস ৩০ বলে ফিফটি করার পর তাণ্ডব চালান। পরের পঞ্চাশ করেন আর ১১ বল খেলে। নিজের শেষ ১৭ বলে মারেন চারটি চার ও নয়টি ছক্কা। স্কোরে সমতা ফেরানোর পর সেঞ্চুরি করতে জ্যাকসের লাগতো ছয় রান। রশিদ খানকে ১৬তম ওভারের শেষ বলে ছয় মেরে শতকে পৌঁছান তিনি এবং দলও জিতে যায় ১৬ ওভারেই।
৪১ বলে ৫ চার ও ১০ ছয়ে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন জ্যাকস। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭০ রানে খেলছিলেন কোহলি।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে