ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি রাঘব-বোয়ালরা দেশ ও অর্থনীতির শত্রু
দেশের ব্যাংকিং খাত মোটেও ভালো চলছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক দিন আগে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাতের সমস্যা এবং তা উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একক আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে পরিমাণ প্রদর্শন করছে, তা বাস্তব চিত্র নয়। বাংলাদেশের ব্যাংকের পরিসংখ্যান মোতাবেক গত জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকার মতো; কিন্তু প্রদর্শিত খেলাপি ঋণের মধ্যে অবলোপনকৃত ঋণাঙ্ক, পুনঃতপশিলীকৃত ঋণ এবং মামলাধীন প্রকল্পের কাছে ব্যাংকগুলোর দাবিকৃত ঋণাঙ্ক অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
প্রদর্শিত খেলাপি ঋণের সঙ্গে বিভিন্নভাবে খেলাপি ঋণের বাইরে রাখা হয়েছে এমন ঋণাঙ্ক যোগ করলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবার পর ড. আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তার এই নিয়োগ সংশ্লিষ্ট সবার মনে আশার সঞ্চার করেছে। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি মালিনাধীন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। ড. আহসান এইচ মনসুর দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই অবহিত আছেন। ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ আদায় করতে না পারার কারণে অর্থনীতি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যাংকিং খাত দেশের ব্যক্তি খাতে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ঋণ জোগান দিতে পারছে না।
তারল্য সংকট ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে সরকারও ব্যাংকিং খাত থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে ঋণ গ্রহণ করতে পারছে না। ফলে সরকারের অর্থের চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নতুন করে টাকা ছেপে সরকারকে জোগান দিতে হচ্ছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভুল নীতির কারণে সৃষ্ট উচ্চ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা যায়নি। উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রবণতা শুরু হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ৭৭টি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের বিদ্যমান নীতি সুদের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে। এতে আগ্রহী ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ গ্রহণের প্রবণতা হ্রাস পায়। কারণ নীতি সুদের হার বৃদ্ধি ফলে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বেড়ে যায়। বাজারে অর্থ সরবরাহ কমে যায়। আরও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি ইতিমধ্যেই সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসরণে নীতি সুদের হার ৫ শতাংশ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশে বৃদ্ধি করেছে; কিন্তু ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার কিছুদিন আগপর্যন্তও ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে রেখেছিল। এর ফল যে উল্টো হবে, তা কি বাংলাদেশ ব্যাংক বুঝতে পারেনি? তারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। কিন্তু মহল বিশেষকে অনৈতিক সুবিধা দেবার জন্যই তারা এটা করেছিল বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। ব্যাংক ঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার ৯ শতাংশ নির্ধারিত থাকার কারণে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করাটা তুলনামূলক সস্তা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ তখন মূল্যস্ফীতির হার ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ বা তারও বেশি। সেই সময় বাস্তবায়িত এক মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু প্রকৃত অর্জনের হার দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
অথচ সেই সময় শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য আমদানি হ্রাস পেয়েছিল ১৪ শতাংশ করে। আর যন্ত্রপাতি আমদানিও ব্যাপকভাবে কমেছিল। অনেকেই মনে করেন, সেই সময় একাধিক প্রভাবশালী গোষ্ঠী ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে তা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছেন। এমন কি বিদেশে পাচার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এক বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। পচারকৃত এই বিপুল অর্থের বড় অংশই ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণের অর্থ। বিদেশে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য এখনই প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আইনগত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করা যেতে পারে। অর্থ পাচার হয়ে যাবার তা উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর পাশাপাশি অর্থ পাচার বন্ধ করতে হবে।
চলতি অর্থবছরের জন্য যে বাজেট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেখানে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। কারণ উপার্জিত অর্থের ওপর যারা নিয়মিত কর প্রদান করেন তাদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ট্যাক্স প্রদান করতে হয়। বৈধ অর্থের ওপর নিয়মিত করদাতাদের চেয়ে কম ট্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হলে কালো টাকার মালিকরা উৎসাহিত হবেন। তাই এই সুবিধা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিস্তি ফেরত দিচ্ছেন না অথবা ব্যাংক থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লোপাট করছেন তাদের তিনি শান্তিতে থাকতে দেবেন না। উল্লেখ্য, গত ১৫ বছরে দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের ২৪টি দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
এসব দুর্নীতির ঘটনার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দেশের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) তাদের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। পুরো ব্যাংকিং খাত এখন অভ্যন্তরীণ সুশাসনের প্রচণ্ড অভাবে ভুগছে। অভ্যন্তরীণ সুশাসনের অভাবের কারণে একটি প্রভাবশালী মহল নানা উপায়ে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। যারা ব্যাংকিং খাত থেকে অবৈধ উপায়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন তারা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং সব সময়ই রাষ্ট্র ক্ষমতার আনুকূল্য পেয়েছেন। ব্যাংকিং খাত থেকে প্রকৃত পক্ষে কত টাকা লোপাট হয়েছে এবং খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ কত তা জানার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর জানিয়েছেন, আগামী ১০০ দিনের মধ্যে ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে।
প্রস্তাবিত শ্বেতপত্র প্রকাশিত হলেই ব্যাংকিং সেক্টরের প্রকৃত সমস্যা এবং তা সমাধানের উপায় সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সম্ভব হবে। দেশের ব্যাংকিং খাত সঠিকভাবে চলছে না। ফলে উদ্যোক্তারা ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে তাদের চাহিদা অর্থের জোগান পাচ্ছেন না। বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতিতে উদ্যোক্তারা সব সময়ই পুঁজি স্বল্পতায় ভোগেন। ফলে তারা পুঁজির জোগান নিশ্চিত করার জন্য ব্যাংকিং খাতের ওপর নির্ভর করে থাকেন; কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে তারা প্রয়োজনীয় পুঁজির জোগান পাচ্ছেন না। এ জন্য মূলত এই খাতে জমে থাকা পর্বতপ্রমাণ খেলাপি ঋণই দায়ী। ব্যাংকগুলো ঋণ দিলেও সেই ঋণের কিস্তি সঠিক সময়ে আদায় করতে পারছে না। এখন প্রশ্ন হলো, খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য কীভাবে সমস্যা সৃষ্টি করছে? ব্যাংক তো নিজের অর্থে ব্যবসায় করে না। ব্যাংক নির্ধারিত হারে সুদ প্রদানের শর্তে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে থাকে।
সেই আমানতকৃত অর্থের ওপর কিছু বর্ধিত সুদারোপ করে ব্যাংক উদ্যোক্তা বা সাধারণ ঋণ গ্রহীতাদের ঋণ প্রদান করে থাকে। ব্যাংক যদি নির্দিষ্ট সময়ে সুদ সমেত ঋণের কিস্তি আদায় করতে না পারে তাহলে তার লোকসান হয়। কারণ ব্যাংক প্রদত্ত ঋণের কিস্তি আদায় করতে না পারলেও আমানতকারীদের ঠিকই সুদ প্রদান করতে হয়। ঋণের কিস্তি আদায় করতে না পারলে ব্যাংক আমানতকারীদের আরও বেশি সুদ প্রদানের শর্তে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। এতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পায়। ব্যাংকের প্রদত্ত ঋণ যদি খেলাপি হয়ে পড়ে অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত আদায় করতে না পারে, তাহলে ব্যাংককে প্রতিটি শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে নির্ধারিত হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। প্রভিশন সংরক্ষণ করতে গিয়ে ব্যাংকের মুনাফা কমে যায়। বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের পরিমাণ হ্রাস পায়। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রদত্ত ঋণকে ৫টি বিশেষ শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। প্রত্যেক শ্রেণির ঋণের বিপরীতে নির্ধারিত বিভিন্ন হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।
নিয়মিত পরিশোধিত হচ্ছে এমন ঋণ হিসাবের বিপরীতে ১ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। কোনো বিশেষ শ্রেণিতে বিভাজিত হয়নি এমন ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। নিম্নমানের অর্থাৎ যে ঋণ হিসাব মাঝে মাঝে অনিয়মিত হয়ে পড়লেও আবারও নিয়মিতকরণ করা হয় এমন ঋণ হিসাবের বিপরীতে ২০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। যে ঋণ হিসাব থেকে কিস্তি আদায়ের ব্যাপারে ব্যাংক সন্দিহান হয়ে পড়ে, তেমন ঋণ হিসাবের বিপরীতে ৫০ শতাংশ প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। আর যে ঋণ হিসাব থেকে ব্যাংক কিস্তি আদায়ের আশা ত্যাগ করে- এমন ঋণ হিসাবকে মন্দ ঋণ হিসেবে শ্রেণিকৃত করা হয়, যার ওপর ১০০ ভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়। দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আসলে কত তা আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না। কারণ খেলাপি ঋণ প্রদর্শণের পরিবর্তে লুকিয়ে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যা কার্পেটের নিচে ময়লা লুকিয়ে রেখে ঘর পরিষ্কার দেখানোর মতো।
বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে- এটা খুবই ভালো কথা। এ জন্য প্রথমেই খেলাপি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করতে হবে; কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের কি সেই সক্ষমতা আছে? প্রথমেই বাংলাদেশ ব্যাংককে সক্ষম করে তুলতে হবে, যাতে তারা যে কোনো পরিস্থিতিতে এই সেক্টরে বিদ্যমান খেলাপি ঋণের পরিমাণ সঠিকভাবে নিরূপণ করতে পারে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা, দেশের বিশিষ্ট ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এই কমিটির কাজ হবে খেলাপি ও অনাদায়যোগ্য, মন্দ এবং অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণ, এমন পরিস্থিতির কারণ অনুসন্ধান এবং এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ও ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হওয়ার সংস্কৃতি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করবে।
সেই সুপারিশের ভিত্তিতে ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থঋণ আদালতকে শক্তিশালী করতে হবে। মোট কথা, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইন প্রয়োগ করে সমুদয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা, বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং প্রয়োজনে জেল-জরিমানার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি রাঘব-বোয়ালরা দেশ ও অর্থনীতির শত্রু। তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া যাবে না। তবে যারা নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না তাদের ঋণ পরিশোধের অতীত রেকর্ড বিবেচনা করে ঋণ পরিশোধে সামর্থ্যবান করে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে।
ড. মাহফুজ কবীর: গবেষণা পরিচালক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস)।
অনুলিখন: এম এ খালেক
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে