যুব সম্মেলনে তামাকপণ্যের কর ও মূল্য বাড়ানোর দাবি
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ এবং কার্যকর তামাক-কর ও মূল্য বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তরুণরা। সচেতনতা বাড়িয়ে দেশজুড়ে তামাকের ব্যবহার কমানোরও আহ্বান তাদের।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যুব সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীরা বলেছেন, এতে প্রায় ১৬ লাখ অকালমৃত্যু রোধ সম্ভব হবে। সরকারের রাজস্ব আহরণও বাড়বে।
তামাকের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসারসহ নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় তরুণ প্রজন্মকে রক্ষার উপায় নিয়ে সম্মেলনে কথা বলেন একাডেমিক, গবেষক, সিভিল সোসাইটি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে যুব সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে বছরে প্রায় এক লাখ ৬১ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অকালে মারা যান। দেশে তামাক ব্যবহারের হার দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৫.৩ শতাংশ। তামাক খাত থেকে সরকার যে রাজস্ব আহরণ করে তার চেয়েও ৩৪ শতাংশ বেশি খরচ হয় তামাকজনিত রোগের চিকিৎসায়।
তামাকপণ্যের কর বাড়িয়ে তামাকের ব্যবহার কমানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোমেনা মনি, প্রফেসর ড. শাফিউন নাহিন শিমুল, সাবেক এনবিআর সদস্য ড. মো. শহিদুল ইসলামসহ সম্মেলনের বিশেষ অতিথিরা।
তামাকপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও কর প্রস্তাব বাস্তবায়নে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম এবং যুবনেতারা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের চারটি স্তরকে তিনটি স্তরে নামিয়ে আনা এবং প্রতি স্তরের সিগারেটের সর্বনিম্ন দাম বাড়ানোর দাবি জানানো হয় সম্মেলনে। এক্ষেত্রে দশ শলাকার প্যাকেটের মূল্য নিম্নস্তরে ৮০ টাকা, উচ্চস্তরে ১৩০ টাকা এবং প্রিমিয়াম স্তরে ১৮০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়।
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে