দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ
পুলিশের সবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের দুর্নীতি নিয়ে যখনে দেশে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে তখনই ঘোষনা হলো আগামী অর্থ বছরের বাজেট। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বজেট বক্তব্যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের ঘোষনা দিয়েছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসনভিত্তিক প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে সরকার 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি' গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকার দুর্নীতি প্রতিরোধ ও জনগণের ভোগান্তি হ্রাসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে পূর্ণাঙ্গভাবে অটোমেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ডিজিটাল আর্কাইভ, ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব, ইনভেস্টিগেশস অ্যান্ট প্রসিকিউশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমাজের সর্বজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে দেশের প্রতিটি মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫০৪টি 'দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি' গঠন করা হয়েছে। সরকারি, আধা-সরকারি দপ্তরগুলোর দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সেবা গ্রহণে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 'গণশুনানি' কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সততা চর্চা প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বিক্রেতাবিহীন ৬ হাজার ৬৩৮-টি 'সততা স্টোর' চালু করা হয়েছে। এছাড়া, ছাত্র সমাজের মাঝে সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ উন্নয়নের লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৫৪২টি 'সততা সংঘ' গঠন করা হয়েছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর লক্ষ্যে দুর্নীতি বিরোধী সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, র্যালি, পথ নাটক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে.
মতামত দিন
মন্তব্য করতে প্রথমে আপনাকে লগইন করতে হবে