Views Bangladesh Logo

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

‘মব ডেভিলদের’ থামান
‘মব ডেভিলদের’ থামান

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

‘মব ডেভিলদের’ থামান

দায়িত্ব নেয়ার পরদিন থেকে মব ও আন্দোলন মোকাবিলা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাতে সফলতা যে খুব একটা নেই, তার সর্বশেষ উদাহরণ অমর একুশে বইমেলা। সব্যসাচী প্রকাশনীর স্টলে ‘বিতর্কিত’ লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখার অভিযোগে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একদল বিক্ষুব্ধ লোকের রোষানলে পড়েন শতাব্দী ভব নামে একজন লেখক। পুলিশের সাহায্যে মেলা থেকে বের করে নেয়া হয় তাকে। এ সময় প্রকাশ্যে লেখককে ক্ষমা চাইতে হয়। এর পরপরই সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় স্টলটি। বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ জানায়, সাময়িক বন্ধের পর স্টলটি খুলে দেয়া হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে টাস্কফোর্সের সভার পরে। গণমাধ্যমের খবর বলছে, তসলিমা নাসরিনের বই বিক্রি করা দেখে সব্যসাচীর স্টলে ভিড় করে একদল লোক। লেখক শতাব্দী ভব তখন সেখানেই বসেছিলেন।

তারেক রহমানকে জনতা তাদের হৃদয়ে নায়ক হিসেবে স্থান দিয়েছেন
তারেক রহমানকে জনতা তাদের হৃদয়ে নায়ক হিসেবে স্থান দিয়েছেন

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

তারেক রহমানকে জনতা তাদের হৃদয়ে নায়ক হিসেবে স্থান দিয়েছেন

রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশের ক্রান্তিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জাতির প্রয়োজনে বিএনপির আত্মপ্রকাশ হয়েছিল। এর মাধ্যমে তখন গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হয়। বিএনপি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা ও অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য অনুধাবন করতে হলে দল প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন।

সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক
সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

সবজির মূল্যে ধস: উদ্বিগ্ন কৃষক

গত পঞ্জিকা বর্ষে দীর্ঘতম খরা, পরবর্তী বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে শাকসবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছিল মূল্য। পরে কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আশানুরূপ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এখন সবজির ভরা মৌসুম। বাজারে শীতের সবজির বিপুল সমারোহ। হরেক রকম সবজির বৈচিত্র্যময় পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। সরবরাহ বাড়ছে প্রতিদিন। ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে সবজির দাম। এখন সব ধরনের সবজির দামই ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে এসেছে।

মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়
মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়

দেশের সাধারণ নাগরিক এমন একটি সরকার ও সরকার ব্যবস্থা চায়, যারা জনমানুষের কল্যাণে দায়িত্ব পালন করবেন। সরকার হচ্ছে জনগণের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠান। একটি সরকার যে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে, তার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করে। আমাদের দেশের বিদ্যমান সংবিধান মোতাবেক জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত রাজনৈতিক দলই দেশ শাসন করবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হবার জন্য একমাত্র বৈধপথ হচ্ছে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হওয়া। যে দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সমর্থন পাবে তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে- এটাই প্রত্যাশিত। একটি রাজনৈতিক দল যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তখন জনগণের কাছে অঙ্গীকার করে তারা নির্বাচিত হলে কি কি কাজ করবে। জনগণ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনি অঙ্গীকার বিবেচনায় নিয়ে তাদের সমর্থন

রাষ্ট্র যখন বৈষম্যের সন্তান এবং বৈষম্যের প্রতিপালক
রাষ্ট্র যখন বৈষম্যের সন্তান এবং বৈষম্যের প্রতিপালক

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

রাষ্ট্র যখন বৈষম্যের সন্তান এবং বৈষম্যের প্রতিপালক

আপনি, রবীন্দ্রনাথ, রাষ্ট্রে বিশ্বাস করতেন না; বিশ্বাস করতেন সমাজে। ভারতবর্ষে সমাজই বড়, রাষ্ট্র এখানে একটি উৎপাত বিশেষ- এ আপনার ধারণার অন্তর্গত ছিল। রাষ্ট্র ছিল বাইরের। সমাজ আমাদের নিজস্ব। এই সমাজকে আমরা নিজের মতো গড়ে তুলব, এই আস্থা আপনার ছিল; কিন্তু রাষ্ট্রের উৎপাত কমেনি, ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্র হয়ে দাঁড়িয়েছে শোষণ ও লুণ্ঠনে অতিশয় বিশ্বস্ত যন্ত্র। যন্ত্র সে শাসকদের হাতে। শাসকরা অধীন সাম্রাজ্যবাদের হাতে। আমরা দেখছি রাষ্ট্র আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অধিক দক্ষ ও সর্বগ্রাসী হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি আছে এনজিও। এরা অনেকটা মিশনারিদের মতো। নতুন ধর্ম প্রচার করছে, সেটি হলো পুঁজিবাদ। রাষ্ট্র নিজে পুঁজিবাদী ও আমলাতান্ত্রিক; এনজিওদের সাহায্য দানও পুঁজিবাদী; তাদের লক্ষ্য মানুষকে বিশ্ব পুঁজিবাদের অংশ করে ফেলা। রুশ বিপ্লবের পর, রবীন্দ্রনাথ, আপনি সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিলেন। গিয়ে মনে হয়েছিল আপনার যে আপনি তীর্থ দর্শনে এসেছেন। মানব-মুক্তির নব আয়োজন আপনাকে অভিভূত করেছিল। সেই সোভিয়েত এখন আর নেই। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এখন সেখানে বিদেশি বণিক ও স্বদেশি মতলবীদের দানবীয় পদচারণায় নতুন মানুষ সৃষ্টির সমস্ত উদ্যমসহ সবকিছুই লন্ডভন্ড।

নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে
নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

নির্বাচন কমিশনকে সংস্কারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে

সম্প্রতি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটেছে। আগের সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলেছিল। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। কোনো ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকতা বজায় ছিল না। জনসাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছিল না। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে সরকার পরিবর্তনের যে পদ্ধতি তা ধ্বংস করে দেয়া হয়। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের যে প্রক্রিয়া বহাল থাকলে বিতাড়িত সরকারের এই পরিণতি হতো না।

৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল
৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

৩২ নম্বরের বাড়ি, এক্সক্যাভেটর এবং বৃহস্পতিবার সকাল

৩২ নম্বরের রাস্তা ধরে একটু পশ্চিমে এগোলেই চোখে পড়ে মানুষের ভিড়। রাস্তার দুপাশের ফুটপাতে অসংখ্য মানুষ। অনেকেই উত্তর দিকে মোবাইল ফোন তাক করে আছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন। কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করছেন। আরেকটু কাছে যেতে এক্সক্যাভেটরে দালান ভাঙার শব্দ। ভবন গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ধুলো উড়ছে। কিছু কাঠ জ্বলছে। ফলে ধুলো আর ধোঁয়ায় একাকার। ভবনটিকে ঘিরে নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ-তরুণসহ নানা বয়সী মানুষ। তাদের অনেকের পোশাক আর জুতার দিকে তাকিয়ে মনে হলো, তারা এসেছিলেন ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে। কৌতূহলবশত এখানে এসেছেন দেখতে যে, কীভাবে একটি ঐতিহাসিক ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

অতি দম্ভ-অতি কথন, একগুয়েমিতে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন
অতি দম্ভ-অতি কথন, একগুয়েমিতে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

অতি দম্ভ-অতি কথন, একগুয়েমিতে বিচ্ছিন্নতার বীজ বপন

দেশের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বিপর্যয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ। অপশাসন, দুর্নীতি ও অতিমাত্রায় দলীয়করণের নীতি গ্রহণের কারণে তীব্র গণরোষের মুখে দলটির সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এক অর্থে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছেন। দলটির সামনে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ।

অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের বিকল্প ভাবনারও মৃত্যু ঘটবে
অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের বিকল্প ভাবনারও মৃত্যু ঘটবে

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

অন্তর্বর্তী সরকার হোঁচট খেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনগণের বিকল্প ভাবনারও মৃত্যু ঘটবে

বিভিন্ন কমিশনের সুপারিশ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসনা অনেক বড়, তিনি মনে করেন আওয়ামী লীগ ব্যতীত বাকি রাজনৈতিক দলগুলোর মতৈক্যের ভিত্তিতে যে চার্টার তৈরি হবে তা থাকবে অক্ষয় ও অমর, কোনো রাজনৈতিক দল চার্টার থেকে সরতে পারবে না। ড. ইউনূস জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি হলেও রাজনীতিতে তিনি কতটা পরিপক্ব তা বিশ্লেষণ করার প্রয়োজনীয়তা আছে। রাজনীতির ঘোরপ্যাঁচের অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি শুধু স্বপ্ন বুনতে ভালোবাসেন। স্বপ্নের বাস্তবায়নও তার আরাধ্য বাসনা। এই বাসনা থেকেই তিনি জাতির জন্য কতগুলো দিকনির্দেশনা রেখে যেতে চান। তবে ঐকমত্যের স্বাক্ষরিত চার্টারের স্থায়িত্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন।

পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি কীভাবে পাস হয়েছিল ‘বাকশাল’
পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি কীভাবে পাস হয়েছিল ‘বাকশাল’

রাজনীতি ও জনপ্রশাসন

পঁচাত্তরের ২৫ জানুয়ারি কীভাবে পাস হয়েছিল ‘বাকশাল’

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে দুর্ভিক্ষ এবং জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একটি নতুন ধরনের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু এগোতে থাকেন- তিনি যেটিকে বলতেন ‘দ্বিতীয় বিপ্লব’- সেই বিপ্লব কায়েমের অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংসদে পাস হয় সংবিধানের বহুল আলোচিত (এবং বিতর্কিত) চতুর্থ সংশোধনী বিল। যে সংশোধনীর মধ্য দিয়ে দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়।

ট্রেন্ডিং ভিউজ