বাংলাদেশের অর্থনীতি
ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড সুবিধা পেতে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি
আশির দশকে তৎকালীন সামরিক-স্বৈরশাসক জেনারেল এইচ এম এরশাদ অপরিকল্পিত জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে ‘এক নম্বর জাতীয় সমস্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তার এই বক্তব্য সেই সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেলেও এটা ছিল সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এই মন্তব্য। কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধি তা পরিকল্পিতই হোক বা অপরিকল্পিতই হোক কখনো একটি দেশের জন্য এক নম্বর জাতীয় সমস্যা হতে পারে না। জনসংখ্যা এমনই এক সম্পদ, যার কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর উন্নয়ন অগ্রযাত্রা জনসংখ্যা ব্যতীত কোনোভাবেই কল্পনা করা যায় না। জনসংখ্যাকে পরিকল্পিতভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ এবং উৎপাদনশীল উপকরণে পরিণত করা গেলে তা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হয়। আর জনসংখ্যা যদি অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠে, তাহলে তা একটি দেশের জন্য ‘দায়’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব একান্তভাবেই রাষ্ট্রের। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ব্যর্থতার দায় রাষ্ট্র কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। আরা যদি বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি দিই তাহলে দেখব, আমাদের এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে অমার্জনীয় ব্যর্থতা রয়েছে, যার দায় কোনোভাবেই রাষ্ট্র এড়াতে পারবে না।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয় কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের বিলুপ্তি ঘটে না
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো আড়াই মাস গত হয়নি। কাজেই এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতি এবং রাজনীতেতে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
নতুন শ্রমবাজারের বিকল্প নেই
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স। অধিক বেতন, উন্নত কর্মপরিবেশ ও উন্নত জীবনযাপনের আশায় মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্যান্য দেশে পাড়ি জমায়। এসব প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্স একটা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের মাথাপিছু আয় এবং মোট জিডিপিও বৃদ্ধি পায়। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না : আইএসপিআর
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।
গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নতি হলে বদলে যাবে দেশ
ইতিহাসবিদরা একটি সাধারণ থিওরি বিশ্বাস করেন, তা হলো কোনো রাজবংশই প্রচণ্ড প্রতাপ নিয়ে একটানা ১০০ বছরের বেশি টিকে থাকতে পারে না। এই ১০০ বছরের মধ্যে কোনো না কোনো পর্যায়ে রাজবংশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবেই। এই থিওরিটি রাজবংশের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি ব্যক্তি বা পারিবারিক পরিমণ্ডলেও প্রযোজ্য। কোনো পরিবারই একশ বছরের বেশি তার ঐতিহ্য এবং প্রভাব নিয়ে টিকে থাকতে পারে না। আজ যে পরিবারটি এলাকায় প্রচণ্ড প্রতাপ নিয়ে বিরাজ করছে, কাল হয়তো সেই পরিবারটিই নিঃস্ব হয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে কোনো একটি পরিবার প্রধান যে বিত্ত-বৈভব অর্জন করেন, তার মৃত্যুর পর পরবর্তী বংশধররা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই প্রভাব-প্রতিপত্তি ধরে রাখতে পারেন না। আমরা যদি গ্রামীণ অর্থনীতি এবং পারিবারিক জীবনের প্রতি দৃষ্টি দেই, তাহলে এই সত্যটি উপলব্ধি করতে পারব। কোনো ব্যক্তি তিনজন উত্তরাধিকারী রেখে মৃত্যুবরণ করলে তার সব ছেলেই বাবার মতো বিত্ত-বৈভবের মালিক হতে পারেন না। গ্রামীণ অর্থনীতির একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেখানে প্রতিনিয়তই ভাঙা-গড়া চলছে। যারা এক সময় অত্যন্ত বিত্তবান পরিবার হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল, হয়তো উত্তরকালে তারাই সব সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে।