বাজার সিন্ডিকেট
আলু সিন্ডিকেট দূর করুন
আলু আমাদের জীবনে অত্যন্ত দরকারি একটি সবজি। এমন কোনো তরকারি নেই, যার সঙ্গে আলু মিশে যায় না। ভাতের পরেই সম্ভবত আলুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি। এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না যে ভাতে-আলুতে বাঙালি। কারণ, অনেক বাঙালিই এখন আর নিয়মিত মাছ খেতে পারে না; কিন্তু আলু ছাড়া এক দিনও চলা কঠিন। আর কোনো তরকারি ঘরে না থাকলে অনেক পরিবার আলুভর্তা বানিয়েই ভাত খেয়ে ফেলে। সেই আলুও এখন অনেকের কাছে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাজারে এখন প্রতি কেজি আলু খুচরা পর্যায়ে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রায় চিকন চালের দামের সমান, মোটা চালের চেয়ে বেশি। এই অবস্থায় নিম্নআয়ের মানুষের আলুও খেতেও হিসাব করতে হয়।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয় কিন্তু বাজার সিন্ডিকেটের বিলুপ্তি ঘটে না
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এখনো আড়াই মাস গত হয়নি। কাজেই এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতি এবং রাজনীতেতে বিভিন্ন ধরনের জটিল সমস্যার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।
যে কারণে কার্তিক মাসে সবজির দাম চড়া
কার্তিক মাস চলছে। এটি গ্রাম-বাংলায় অভাবের মাস। দেশের উত্তরাঞ্চলে এ সময়টাকে বলা হতো মঙ্গাকাল। এ সময় মাঠে কাজ থাকে কম। হ্রাস পায় কৃষি শ্রমিকদের আয়। ক্ষেতে আমন ধান থাকে বাড়ন্ত অবস্থায়। অন্য ফসলের সমারোহ থাকে কম। এ সময় গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির সরবরাহ হ্রাস পেয়ে নেমে আসে তলানীতে। শীলকালীন সবজি আসতে শুরু করে কার্তিকের শেষে। এর সরবরাহ বাড়ে হেমন্তের শেষভাগে, অগ্রহায়ণে। এ সময় কৃষিজাত পণ্যের মূল্য থাকে চড়া। তাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি পায়। নুন আনতে তাদের পান্তা ফুরায়। অনেক সময় বেড়ে যায় দ্রব্যমূল্য। কখনো অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। দেশের গরিব মানুষের আহাজারি তখন মরা কার্তিকের বিলাপের মতো শোনায়।
সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজস আছে কি না খতিয়ে দেখতে হবে: সেতুমন্ত্রী
বাজার সিন্ডিকেট ও মজুদদারির সাথে কারা জড়িত এবং তাদের সাথে বিএনপির কোনো যোগসাজস আছে কি না-সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।