নারীর ওপর বিনিয়োগ করুন
এসডিজি অর্জনে নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন জরুরি
বাংলাদেশ বিকাশমান একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের দেশে নারী উদ্যোক্তাদের বিকশিত হবার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে নারী উদ্যোক্তারা তাদের সৃজনশীল প্রতিভাকে বিকশিত করার মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে। ২০১৩ সালের ইকোনমিক সেন্সাস অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৭৮ লাখের মতো এন্ট্রারপ্রাইজ ছিল। এর মধ্যে মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ ছিলেন নারী উদ্যোক্তা। আমরা আগামী সেন্সাসের জন্য অপেক্ষা করছি। গত ১১ বছরে দেশে উদ্যোক্তার সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারও কারও মতে, বর্তমানে দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ২০ শতাংশ। কারও মতে এ সংখ্যা আরও বেশি।
নারী উন্নয়নে চাই অর্থনৈতিক বিনিয়োগ
নারীর শ্রম স্বাস্থ্য শিক্ষা আইন পারিবারিক সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯১৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী নারী দিবস পালিত হয়ে আসছে। নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গত একশ বছরে নারী তার অনেক অধিকার আদায় করে নিতে পেরেছেন; কিন্তু এখনো নারীর অনেক অধিকার আদায় বাকি। বিশেষ করে শিক্ষায় ও অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলো এখনো নারীরা নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নারীদের সক্ষমতায় বিনিয়োগ অপরিহার্য
এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য Invest in women: Accelerate progress, অর্থাৎ নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ অপরিহার্য। সেই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখেই ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হবে। আমি মনে করি, এই প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অর্থ এবং আর্থিক যে দিকটি রয়েছে, তা নারী তথা মানব সমাজের জন্য অপরিহার্য। অর্থনৈতিক বিষয় ছাড়া নারীদের এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তেমন সফলতা পাওয়া দুষ্কর।