নারীর অগ্রগতি
নারী ক্রিকেটারদের সঠিক কাজগুলোও করা দরকার
‘পরাজয়ই শেষ কথা’, ‘পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না নারী দল’, ‘মাঠে করুণ আত্মসমর্পণের শেষ কোথায়’, ‘আরেকবার হোয়াইটওয়াশ’ প্রিন্ট মিডিয়াতে নারী ক্রিকেট নিয়ে এসব শিরোনামই প্রকাশিত হচ্ছে সম্প্রতি। পড়তে আমাদের সবার খারাপ লাগে। তবে এটি বাস্তবতা। মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমাদের উচিত নারী ক্রিকেটে যেটি করণীয় সেদিকে মনোযোগ দেয়া।
এসডিজি অর্জনে নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন জরুরি
বাংলাদেশ বিকাশমান একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের দেশে নারী উদ্যোক্তাদের বিকশিত হবার সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে নারী উদ্যোক্তারা তাদের সৃজনশীল প্রতিভাকে বিকশিত করার মাধ্যমে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে। ২০১৩ সালের ইকোনমিক সেন্সাস অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৭৮ লাখের মতো এন্ট্রারপ্রাইজ ছিল। এর মধ্যে মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ ছিলেন নারী উদ্যোক্তা। আমরা আগামী সেন্সাসের জন্য অপেক্ষা করছি। গত ১১ বছরে দেশে উদ্যোক্তার সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনি নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারও কারও মতে, বর্তমানে দেশে নারী উদ্যোক্তার হার ২০ শতাংশ। কারও মতে এ সংখ্যা আরও বেশি।
নারীর অগ্রগতি ও একজন জান্নাতুল ফেরদৌস
অতি সম্প্রতি বিবিসি বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর যে তালিকা করেছে, সেখানে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক লেখক ও মানবাধিকারকর্মী। এ ছাড়া তিনি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি জান্নাতুল ফেরদৌসকে চিনি না, নামও জানতাম না, যদি বিবিসি বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর তালিকায় তাকে স্থান না দিত। এটা আমার কিংবা আমাদের ব্যর্থতা। বিবিসির তালিকায় তার নাম প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে সে যেমন নিজেকে সম্মানিত করেছে, তেমনি আমাদেরও। কারণ ওই তালিকায় জান্নাতুলের সঙ্গে আরও আছেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা, মেয়েদের ব্যালন ডি’অরজয়ী আইতানো বনমাতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিশেষজ্ঞ টিমনিত জিবরু ও হলিউড অভিনেত্রী আমেরিকা ফেরেইরার মতো নারীরা।